এক ভরা গ্রীষ্মের দুপুরে চিলেকোঠার ঘরে।
যখন ব্যস্ত সবাই চুড়ান্ত ভাত ঘুমে।
লুকোচুপিতে জানিয়েছিলে আমায় আমন্ত্রণ।
তোমার প্রথম যৌবনের দিনে।
আমি সেদিন তোমার আহ্ববানে গিয়েছিলুম ঠিক!
কিন্তু তোমার সাদর আতিথিয়েতা গ্রহণ করতে পারিনি।
যদিও সেদিন সেই দুপুরে
নিজেকে নিজের সাথে প্রচণ্ড লড়াই করতে হয়েছিলো ।
প্রচণ্ড অপমানিত তুমি
আমায় নপুংসক অপবাদে ভূষিত করেছিলে।
আর আমি,
আমার তথাকথিত পবিত্র কৌমার্য হারাতে চাইনি কিছুতেই।
কারণ আমি বিশ্বাস করি
যার পানি গ্রহন করব ।
তাকেই ,শুধু মাত্র তাকে ই,.
দেব উপহার ,আমার এই শরীর মন আত্মা ।
তোমার নিষ্ঠুর বাক্যবান
আমাকে ক্ষতবিক্ষত করেছিলো সেদিন।
কিন্তু আমার খুব লোভ হলেও , কোন ইচ্ছাই ছিলো না।
সদ্য কলি থেকে ফুল হয়ে ওঠা ফুলকে,
বিছাপোকার মতো একটু একটু করে কুরে কুরে খাওয়ার।
এক্ষেত্রে আমায় সারা পৃথিবী
সন্ন্যাসী অপবাদে ভূষিত করতে পারে হয়তো ।
অথবা
বলতে পারে নপুংসক।
তাতে আমার কিছু যায় আসে না ।
এ আমার পৌরুষত্বের অহংকার ।
এ আমার বিবেকবোধের ,সুস্থ চিন্তাচেতনার অঙ্গীকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন