#মদিনার ইহুদি সম্প্রদায়কে আল্লাহ অভিশপ্ত করেন কেন জানেন? সেই ইব্রাহিম নবীর (আঃ) যুগ থেকেই প্রতি জেনারেশনে বলতে গেলে ওদের একটা করে নবী ও রাসূল আছে। ইসহাক, ইয়াকুব, ইউসুফ, মূসা, হারুন, দাউদ, সুলাইমান (আঃ) প্রমুখ নাম বলতে থাকেন, সব তাদের নবী। তাওরাত অনুযায়ী শেষ নবীও একই বংশে আসার কথা। তাই তারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো স্থানীয় আরবদের প্রতি। প্রকাশ্যেই বলতো শেষ নবী আসার সময় হয়ে গেছে। যখন তিনি এসে যাবেন, তারা তখন এইসব আরবদের দেশছাড়া করবে। হত্যা করবে। ওরা ওভার কনফিডেন্ট যে আল্লাহ ওদের মধ্য থেকেই নবী নির্বাচন করবেন। কারন ওরা বনু ইস্রাঈল, ওদের আছে নির্দষ্ট আসমানী কিতাব, ওদের আছে শরিয়া। সেদিক দিয়ে আরবরা জাহিল, বর্বর।
আল্লাহ ইব্রাহিম নবীর বংশ থেকেই শেষ নবী নির্বাচন করেন। কেবলমাত্র ভিন্ন শাখার থেকে। ইসহাক-ইস্রাঈল বংশধারা থেকে নয়, বরং ইসমাঈলের বংশ থেকে। হাজার হাজার বছর ধরে যে বংশ ধারায় কোন নবী রাসূল জন্মেনি। ফলে ইহুদিরা যাদের জাহিল আরব ডাকতো, সেই কুরাইশ পরিবার থেকে। কেবলমাত্র এই কারণেই ওরা আমাদের নবীকে (সঃ) মেনে নিতে পারেনি। কারন তাহলেতো মেনে নিবে যে আল্লাহ তাদের অপছন্দ করেছেন। তাই ওদের বাদ দিয়ে আরবদের নির্বাচিত করেছেন। এতদিন তারাই ছিল আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত উম্মাহ।
এখন সমস্যা হচ্ছে, বনু ইস্রাঈলের সেই ফাইজলামি বাঙালি মুসলমানরাও শুরু করেছে। এমনিতে ঘোড়ার আন্ডা কিছু করতে পারেনা জীবনে। কিন্তু তারপরেও আত্মহংকারতো আছেই, সেই সাথে কেউ যখন কোন ভাল উদ্যোগ নেয়, সেটাতে বাঁধা প্রদান করবেই করবে। সাম্প্রদায়িকতার অন্ধকারে অন্ধ এরা বুঝে না “বিদ্যানন্দ” আমাদেরই সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দিচ্ছে। এর নব্বই ভাগেরও বেশি সুবিধাভোগী আমাদের মতোই মুসলমান, এবং এর ভলান্টিয়ারদের ৯০ ভাগেরও বেশি ছেলে মেয়ে মুসলিম পরিবারে জন্ম। এর পরেও এর উদ্যোক্তা কেন হিন্দু, ওদের নাম কেন হিন্দুয়ানী এইসব নিয়ে ইতরামি করতেই হবে?
ওদের আগে যা আমরা করতে ব্যর্থ হয়েছি, ওরা না থাকলে যাতে আমরা আবারো ব্যর্থ হবো, সেই কাজে আমরা বাঁধা দেই কোন সাহসে?
শুনে খারাপ লাগলো বিদ্যানন্দের উদ্যোক্তাকে বাংলাদেশী সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়ে সরে যেতে হচ্ছে। এরা সেই একই জাতি যারা হলিউডের সিনেমায় বদনাম হয়ে গেছে বলে বুক চাপড়ে কান্নাকাটি করে, এদিকে নিজেই তারচেয়ে জঘন্য অপরাধ করে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, যখন কোন জাতি বাড়াবাড়ি করে, তখন তাদের পাল্টে তিনি নতুন ও উত্তম জাতি দ্বারা প্রতিস্থাপন করেন। “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির“ দেশে আমরা বহু যুগ ধরেই সীমাতিক্রম করে আসছি।
**************************************************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন